রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীতে দোকান খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ বিক্ষোভ করেন।
এদিকে ব্যবসায়ীদের এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। গত রবিবার থেকে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে সরকারি ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা। তবে রাজশাহীর পরিস্থিতিতে করোনা যেন না ছড়ায় দিক বিবেচনা করে এখনোই দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত দেয় প্রশাসন। এতে করেযার ফলে দোকান পাট বন্ধ হয়ে আছে রাজশাহী নগরীতে। তবে অনেকেই গোপনে দোকানের সার্টার নামিয়ে বা খদ্দের রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে পণ্য বিক্রি করছেন ক্রেতাদের কাছে।
এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা জানান, আগামী ঈদুল ফিতরের ঈদ উপলক্ষেও যদি তারা দোকান খুলতে না পারেন, অনেক ব্যবসায়ী একেবারেই পথে বসবেন। বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনতে হবে ঈদের মার্কেটে ব্যবসা করতে না পারলে। কারণ রাজশাহীর বাইরে অন্য জেলায় মার্কেটগুলো খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বেন রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা।
আবু বাক্কার নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের দোকান খুলতে না পারলে পথে বসবেন। অনেক কর্মচারীকে এখনোই না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থায় তাদের মুখের দিকে চেয়ে হলেও দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হোক। না হলে ঈদের আনন্দ নয় কর্মচারীদে ঘরে ঘরে নেমে আসবে কষ্টের ছায়া।’
অন্যদিকে নগরীর নিউমার্কেটের দোকান খোলার দাবিতে রাজশাহী চেম্বার ভবনে গিয়ে জড়ো হন ব্যবসায়ীরা। তারা তাদের দোকানপাট খুলে ব্যবসা করার জন্য ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। পরে নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের একটা গ্রুপ দোকান খোলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে কথা বলতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে অবস্থান নেন।